ছবিতে একটি ছেলে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে । তার চোখে, ভঙ্গিতে একটি নমনীয় ভাব রাখার চেষ্টা করেছি । তথাকথিত পুরুষালির বাইরে । আজকাল "toxic masculinity"এর চর্চা এবং সমাজে beauty standard নিয়ে বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে এই কাজটি বলা যায়। পুরুষ কাঁদতে পারে, তার ফুল ভালো লাগতে পারে,সে নরম মন ও মেজাজের হতে পারে। সেটা দোষের কিছু নয়। বরং সুন্দর,বাস্তব, প্রাকৃতিক। এমন চরিত্র তাকে কোনো অংশে কম পুরুষ বানায় না। রেফারেন্স ছবি হিসবে বিটিএস এর "পারসোনা" এ্যলবামের একটি কন্সেপ্ট ফোটোকে ব্যবহার করেছি। ছবিটি আমার নিজস্ব স্টাইলে আঁকা । আমার কাজে ব্যবহৃত ফিগারটি আনুপাতিক নয়, ছবিতে আমি বিভিন্ন ধরণের জ্যামিতিক চিহ্ন ব্যবহার করি। রঙের ক্ষেত্রে ব্রাউন পেপার-এর উপর সলিড সাদা, লাল, কালো । ব্রাউন মাটির রং। লাল, সাদা,কালো রঙগুলো কাঁচা, প্রাকৃতিক মনে হয় । কাজের ব্যাকগ্রাউন্ডে মাঝেমধ্যে পুরোনো পত্রিকা ছিঁড়ে টুকরাটাকরা কাগজ বসাই ।কাঁচি দিয়ে কাটার চেয়ে ছেড়ায় আমি বেশি প্রাধান্য দেই । যেন দেখে অনুভূত হয় অরূপান্তরিত , বাস্তব, সত্য ও নিখুঁত নয় এমন। অর্থাৎ এ লাইন-ডট, বিকৃত মুখ ও দেহের গঠন এবং রংগুলো আমার কাজের মধ্যে মানুষের ভিতরকার বৈচিত্র, ব্যক্তিত্বের (persona) অভিব্যক্তি প্রকাশ করার মাধ্যম। কাজ নিখুঁত হতে হবে এই চিন্তা করে আমি কখনোই কাজ করি না আমি সব সময় চেয়েছি আমার কাজে আমার চিন্তা, ভালোবাসা, ফুটে উঠুক। কাজের সমালোচনা প্রচুর হয় দিনের শেষে কাজ ভালো হোক, খারাপ হোক, তা “আমার” .Whatever, big or small, you are you after all.” – BTS, (Paradise). আমি যতটুকু এই মুহূর্তে জানি ও পারি তার মধ্যে কাজ করি আমার চেষ্টা থাকে মানুষ আমার কাজ দেখে বলুক “Not so perfect, but so beautiful”- Jin ,BTS (Epiphany)।